Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে পরিবেশ অধিদপ্তর, শেরপুর

বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে মেঘালয়ের তুষার-শুভ্র মেঘপুঞ্জ ও ছোট বড় গারো পাহাড়ে ঘেরা এই শেরপুর জেলা। গারো পাহাড়ের স্বপ্নপটে, মানস সরোবর থেকে হিমালয় ছুঁয়ে নেমে আসা ব্রহ্মপুত্র এবং ভোগাই, নিতাই, কংশ, সোমেশ্বরী ও মালিঝির মত জলস্রোতের হরিৎ উপত্যকায় গড়ে ওঠা প্রাচীন জনপদ শেরপুর। শেরপুর জেলা ০৫ টি উপজেলা (শেরপুর সদর, নকলা, নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতি, শ্রীবরদী) নিয়ে গঠিত। এ জেলার উত্তরে মেঘালয়, দক্ষিণ ও পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্ব দিকে ময়মনসিংহ জেলা। পাহাড়-পর্বত, বিস্তীর্ণ কৃষিজমি সহ নানান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ শেরপুর জেলা। আর এ প্রাকৃতিক পাহাড়, বিস্তীর্ণ কৃষিজমি সহ নানান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় স্থাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর। ইতোপূর্বে শেরপুর জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় হতে পরিচালিত হতো। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার জন্য সরকার শেরপুর জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নতুন জেলা কার্যালয় চালু করেছে ০৬ মে ২০১৯ সালে। শেরপুর জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনায়, পরিবেশ সুরক্ষায়, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের লক্ষ্যে প্রকৃতি ও পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার মূল দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিবেশ অধিদপ্তর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন”।

অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। যে কোন খাতের উন্নয়ন প্রচেষ্টার ঋণাত্মক দিক হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতিসাধন। যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য হুমকিস্বরুপ। পরিবেশের কথা বিবেচনা করে কিভাবে পরিবেশ বাঁচিয়ে উন্নয়ন করা যায় তা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এজন্য বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার রূপরেখা ‘রূপকল্প-২০২১’ এ পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণকে অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এছাড়া ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতাহারের ৩.২৩ অনুচ্ছেদে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।

পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন একটি আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টেকসই উন্নয়নের বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-এর ১১ (টেকসই নগর ও সম্প্রদায়), ১৩ (জলবায়ু বিষয়ক পদক্ষেপ), ১৪ (টেকসই মহাসাগর), ১৫ (ভূমির টেকসই ব্যবহার) লক্ষ্যমাত্রায় পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ভিশন ও মিশন:

ভিশনঃ ২০২১ সালের মধ্যে দূষণমুক্ত বসবাসযোগ্য একটি সুস্থ, সুন্দর ও মডেল বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

মিশনঃ র্বতমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে –

* বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা।
* পরিবেশ সংক্রান্ত আইন-কানুন ওবিধি-বিধানের যথাযথ প্রয়োগ।
* পরিবেশ বিষয়ে জনসচতেনতা বৃদ্ধি।
* টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সুশাসন নিশ্চিত করা।
* উন্নয়ন পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
* “গ্রিন গ্রোথ” কে  উৎসাহতি করা।

“পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমন” এর গুরুত্ব এবং অপরিহার্যতা বিবেচনা করে সরকার নিন্মোক্ত আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করেছেন। যা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব।

০১। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০)
০২। পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০
০৩। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমিালা, ১৯৯৭ (সংশোধিত-২০০২)
০৪। জাতীয় পরিবেশ নীতি, ২০১৮
০৫। বাংলাদশে জীববৈচিত্র আইন, ২০১৭
০৬। বাংলাদশে জীব নিরাপত্তা বিধিমালা, ২০১২
০৭। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯)


এক নজরে পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম:

১. শিল্প কারখানা/প্রকল্পের অনুকূলে অবস্থানগত ছাড়পত্র/পরিবেশগত ছাড়পত্র ও নবায়ন প্রদান;
২. শিল্প কারখানা মনিটরিং ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা;
৩. দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান/ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ;
৪. সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান;
৫. জলাশয় ভরাট রোধে অভিযান;
৬. যানবাহনের কালো ধোঁয়ার বিরুদ্ধে অভিযান;
৭. পাহাড় কাটা, জাহাজ ভাঙ্গা রোধে অভিযান;
৮. সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের নিমিত্ত অনাপত্তি প্রদান;
৯. পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তপূর্বক নিষ্পত্তি ইত্যাদি;

১০. সবুজ শিল্প স্থাপনে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ প্রদান;

১১. ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বর্তমানের চাহিদা মিটিয়ে তথা Sustainable Development নিশ্চিত করা।